News – Dhaka University Alumni Association https://duaa-bd.org Sat, 10 Sep 2022 06:24:54 +0000 en-US hourly 1 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে শতবর্ষের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত https://duaa-bd.org/2022/03/%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%97%e0%a7%8c%e0%a6%b0/ Sun, 13 Mar 2022 10:00:58 +0000 https://duaa-bd.org/?p=1462 অত্যন্ত আনন্দ উল্লাসে গত ১২ মার্চ ২০২২ উদ্যাপিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘শতবর্ষের মিলনমেলা’। ‘বাংলাদেশের পথযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রায় ১২,০০০ সম্মানিত সদস্যের উপস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ‘শতবর্ষের মিলনমেলা’।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম শিক্ষার্থী মতিউল ইসলাম, বিশেষ অতিথি  শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির চেয়ারম্যান জনাব সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয়  প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল,  প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সম্মানিত সভাপতি এ. কে. আজাদ।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়ানোর মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম শিক্ষার্থী মো. মতিউল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পতাকা উত্তোলন করেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি জনাব এ. কে. আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার, মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির চেয়ারম্যান জনাব সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও সহ-সভাপতি জনাব আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজসহ ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।

উদ্বোধনী মঞ্চে উপস্থিত সম্মানিত অতিথিবৃন্দ এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল সম্মানিত অ্যালামনাইগণ বেলুন উড়িয়ে আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একে-অপরকে বরণ করে নেন।

এরপর শত শিল্পীর লাইভ অর্কেস্ট্রা, সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের মোড়ক উম্মোচন ও ‘শিল্পীর রং তুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়।

শতবর্ষের মিলনমেলায় ‘রং তুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক কর্মসূচিতে ১০০জন চিত্রশিল্পীর চিত্রকর্ম নিয়ে একটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা ছিল। এছাড়া শতবর্ষের স্মারকগ্রন্থ সহ অন্যান্য প্রকাশনাগুলো অ্যালামনাইদের মাঝে বিক্রয়ের ব্যবস্থা ছিলো। সম্মানিত অ্যালামনাইদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে একটি মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়েছিল। যাতে কোনো অ্যালামনাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব হয়। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী অ্যালামনাইদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা, আপ্যায়ন ও পর্যাপ্ত সেনিটেশন-এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।

শতবর্ষের মিলনমেলায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্মানিত অ্যালামনাইগণ তাঁদের পুরনো দিনের স্মৃতি স্মরণ করেন এবং একে অপরকে তা সহভাগিতা করেন। শতবর্ষের মিলনমেলার মূল আকর্ষণ ছিলো জাকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্র, নজরুল ও হারানো দিনের গান পরিবেশন করেন অদিতি মহসীন, প্রিয়াংকা গোপ ও হৈমন্তী রক্ষিত। ৬০ ও ৭০ দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের গান নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করেন চাঁদনি, সিনথিয়া, মিম চৌধুরী ও তাঁদের দল। আধুনিক ও পুরানো দিনের গান পরিবেশনা করেন জনপ্রিয় শিল্পী সামিনা চৌধুরী ও সন্দীপন। প্রেমা ও তাঁর দলের অংশগ্রহণে পরিবেশন করা হয় আকর্ষণীয় রায়বেশি নৃত্য। এরপর সবথেকে বড় আকর্ষণ ছিল জনপ্রিয় ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন-এর একক পরিবেশনা। বর্তমান প্রজন্মের শিল্পী নিশীতা বড়য়া-এর সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

শতবর্ষে এসে শিক্ষার গুণগত মান ও পরিবেশ উন্নয়ন এবং গবেষণার পরিধি সম্প্রসারণ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান প্রশাসন একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করেছেন।

আমাদের পূর্বসূরি শ্রদ্ধেয় অ্যালামনাইদের নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণে সৃষ্টি বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মানবিক ও কল্যাণকামী উন্নত সম্বৃদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বর্তমান প্রজন্মকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যার যার অবস্থান থেকে শ্রদ্ধেয় অ্যালামনাইবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল ও বিভাগীয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন একটি পরিবার হয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাতৃসম অ্যালমা মেটার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমাদের যে দায়বদ্ধতা তা মোচনের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের উদ্যোগ আরো বেগবান এবং কার্যকর হবে, শতবর্ষে দাঁড়িয়ে এই প্রত্যাশা করার মধ্য দিয়ে শতবর্ষের মিলনমেলা শেষ হয়।

শতবর্ষের মিলনমেলার প্রকাশনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বেশ কয়েকটি প্রকাশনা বের করে।

যাত্রিক বিশেষ সংখ্যা

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর সম্মানিত সদস্যদের স্মৃতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত লেখা নিয়ে নিয়মিত যাত্রিকের বিশেষ একটি সংখ্যা মুদ্রণ করা হয়। যা সম্মানিত অ্যালামনাইদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

শতবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে  দেশের খ্যাতিমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বরেণ্য ১০০ জন অ্যালামনাই-এর লেখা সম্বলিত ‘শতবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিরোনামে শতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। গ্রন্থটির সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত। গ্রন্থটি অত্যন্ত তথ্যবহুল ও স্মৃতি বিজড়িত লেখায় পরিপূর্ণ। শতবর্ষের গৌরব, অর্জন, বৈচিত্র্য এবং এমনকি অপূর্ণতা ধারণের চেষ্টা করা হয়েছে এই গ্রন্থটিতে।

]]>
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রতিষ্ঠার ৭৩ বছর উদযাপন https://duaa-bd.org/2021/09/%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%85%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2-6/ Fri, 24 Sep 2021 13:23:19 +0000 https://duaa-bd.org/?p=1348 ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনস্থ অ্যালামনাই ফ্লোরে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, শুভেচ্ছা জ্ঞাপন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পতাকা উত্তোলন, কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটি, সকল জীবন সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া। প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর অংশগ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদান করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি জনাব এ. কে. আজাদ।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। অনলাইনে যুক্ত হয়ে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন বক্তব্য রাখেনÑ সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহম্মাদ আবু কাওছার, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রাপ্তন সভাপতি ও মহাসচিব রকীবউদ্দীন আহম্মেদ। এছাড়াও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন সহ-সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ), সহ-সভাপতি শাইখ সিরাজ, মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান রাশিদুল হাসান এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিমা খাতুন।

বক্তাগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে অ্যালামনাইদের সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং শতবর্ষী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবের ও ঐতিহ্য রক্ষায় বর্তমান প্রজন্মকে আরো আন্তরিক ও সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল হক মুকুল।

এরপর এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী প্রিয়াঙ্কা গোপ এবং নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রোকাইয়া হাসিনা নিলি।

]]>
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে “বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড”- শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত। https://duaa-bd.org/2021/08/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%b6%e0%a7%8b%e0%a6%95-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%b8-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be/ Sat, 28 Aug 2021 15:53:59 +0000 https://duaa-bd.org/?p=1360 ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড-’ শীর্ষক একটি সেমিনার  ২৮ আগস্ট ২০২১, শনিবার সকাল ১০:৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনস্থ অ্যালামনাই ফ্লোরে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চোধুরী (পারভেজ) এবং মহাসচিব জনাব রঞ্জন কর্মকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ এর অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এ. কে. এম. আফজালুর রহমান বাবু। সেমিনারে ওয়েবিনার যুক্ত এবং স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সম্মানিত জীবনসদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব এ. কে. আজাদ।

সেমিনারের শুরুতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে নিহত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ সকল শহীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পার্ঘ অর্পন এবং শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দাবী জানানো হয় জাতীয় কমিশন গঠন করে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রকারীদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার।

]]>
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কর্মসূচি ঘোষণা https://duaa-bd.org/2021/02/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a3%e0%a6%9c%e0%a7%9f%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%80/ Sat, 27 Feb 2021 14:15:10 +0000 https://duaa-bd.org/?p=1345 ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন মুজিব শতবর্ষ, শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বিকেল ৫ টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনস্থ অ্যালামনাই ফ্লোরে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব এ. কে. আজাদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঞাঁ। সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ, শাইখ সিরাজ, যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল হক মুকুল, সুভাষ সিংহ রায়, সেলিমা খাতুন বাহালুল মজনুন চুন্নু-সহ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, জীবন সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন সাব-কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব জনাব রঞ্জন কর্মকার।

এরপর ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উৎসব লোগো উন্মোচন ও শিল্পীর রং তুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি জনাব এ. কে. আজাদ বলেনÑ এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলোর সফল বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা যে কর্মসূচিগুলোর পরিকল্পনা করেছি তা সকলের সহযোগিতায় সফলভাবে বাস্তবায়ন করবো।

]]>
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন https://duaa-bd.org/2020/12/%e0%a6%b6%e0%a6%b9%e0%a7%80%e0%a6%a6-%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%a3/ Mon, 14 Dec 2020 16:45:41 +0000 https://duaa-bd.org/?p=1311 মোমবাতি প্রজ্বালন ও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করেছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনের শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদ, মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, সিনিয়র সহসভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনসহ কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাব কমিটির সদস্যবৃন্দ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ. কে. আজাদ বলেন, ‘দেশের বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য, রাজাকার-আলবদররা যে নীলনকশা করেছিল, তার একটাই উদ্দেশ্য ছিল- জাতিকে মেধাশূন্য করা। সেই লক্ষ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্র ও শিক্ষককে ১৪ ডিসেম্বর রাতে হত্যা করা হয়। ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা নির্বিচারে নারী-পুরুষদের হত্যা করেছে। তারা আজও সক্রিয়। কয়েকদিন আগে তারা জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙেছে এবং ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। দেশের সব বুদ্ধিজীবীকে এ বিষয়ে সজাগ থেকে প্রতিবাদ করতে হবে।’

মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের পরিবারের সদস্যরা কী অবস্থায় আছেন, তা জানা গেলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর প্রস্তাবনার ভিত্তিতে ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।’

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

]]>
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন https://duaa-bd.org/2020/05/%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%bf/ Thu, 14 May 2020 15:20:13 +0000 https://duaa-bd.org/?p=1283 বিশ্ব আজ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ।বাংলাদেশে গত 25 মার্চ থেকে সরকারের আহবানে সকল মানুষ ঘর থেকে করনা প্রতিরোধের ভূমিকা রাখছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তাদের পরিবারের সাথে থেকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বড় অংশ নিন্ম আয়ের পরিবার থেকে আগত তাদের মধ্যে একটি অংশ সবসময় অর্থনৈতিক ঝুঁকি থাকে যার সঙ্গে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীদের 10 শতাংশ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সব শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সরকারের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সমস্ত শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে প্রতি শিক্ষার্থীকে 2000 টাকা করে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা বিকাশ রকেট একাউন্ট নাম্বারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে এই উদ্যোগ চলমান রয়েছে।

সমন্বিতভাবে কাজ টি করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকগণ, ডাকসুর নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করতে সহযোগিতা করেছে।
আমাদের বিশ্বাস এই উদ্যোগের ফলে এসব শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার একটু হলেও উপকৃত হবে।

এছাড়াও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কভিট- ১৯ পরীক্ষার জন্য একটি টেস্টিং ল্যাব ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে যেখানে প্রতিদিন রোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা স্যাম্পল পরীক্ষা করা হচ্ছে।

এই সংকটময় মুহূর্তে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সকল সম্মানিত সদস্য কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

আপনারা সকলে পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

]]>
‘Transformation to Professional’ শীর্ষক কর্মসূচি https://duaa-bd.org/2020/02/transformation-to-professional-%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%95-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%b8%e0%a7%82%e0%a6%9a%e0%a6%bf/ Sat, 22 Feb 2020 10:00:13 +0000 https://duaa-bd.org/?p=1259 ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট-এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাল্যামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তিপ্রাপ্ত ১৩০০ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা স্নাতক (সন্মান) শেষ করেছে তাদেরকে নিয়ে ‘Transformation to Professional’ শীর্ষক এক কর্মসূচি শুরু করছে।

ঢাকা ইউনিভর্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন শুধু বৃত্তি কার্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে যেসকল শিক্ষার্থী স্নাতক (সন্মান) শেষ করেছে সেইসব শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রতিযোগিতামূলক কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকতে পেশাদারিত্ব সৃষ্টির লক্ষে এই কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।


প্রথম পর্যায়ে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে প্রথম পর্যায়ের কোর্স শুরু হয়েছে। কোর্সের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষে চাকুরী পাওয়ার উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা। উক্ত কোর্সে থাকবে সিভি রাইটিং, ইন্টারভিউ স্কিল, কম্পিউটার সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় জ্ঞান, বিভিন্ন পেশাজীবীদের সহিত যোগাযোগ স্থাপনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।


গত ২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনস্থ অ্যালামনাই ফ্লোরে কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি জনাব এ. কে. আজাদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছাও, সহ-সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট-এর সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইফতেখায়রুল আলম শিহাব। উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন ঢাকা ইউনিভর্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর মহাসচিব জনাব রঞ্জন কর্মকার।

]]>
৭১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন https://duaa-bd.org/2019/09/%e0%a7%ad%e0%a7%a7%e0%a6%a4%e0%a6%ae-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%80/ Mon, 30 Sep 2019 07:14:45 +0000 https://duaa-bd.org/?p=1216 মুখ ভার করেছিল গতকাল আশ্বিনের বিকেলটা। আকাশে ঘনকালো মেঘের আনাগোনা, আষাঢ়ের আবহ। অবশেষে শুরু হলো বৃষ্টি, পুরোপুরি মুষলধারে। সেই বর্ষণ উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) উপস্থিত হয়েছিলেন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গত ২৪ সেপ্টেম্বর। গতকাল শনিবার সেটি উদযাপন করা হয় সাড়ম্বরে। এ উপলক্ষে টিএসসির আঙিনা পরিণত হয়েছিল অ্যালামনাইদের সুবিশাল মিলন মেলায়। বিভিন্ন ব্যাচের ও বিভাগের প্রাক্তনদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছিল টিএসসির সবুজ চত্বর।

অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে চলেছে পরস্পরের সঙ্গে কুশল বিনিময়, আড্ডা আর খুনসুটি। ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেছেন সবাই। উদ্বোধনী পর্বের পর ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্বও।
টিএসসির সবুজ চত্বরে শামিয়ানা টানিয়ে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী পর্বের। শুরুতেই ছিল জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা যখন দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতের কথা-সুরে নিজেদের গলা মেলাচ্ছিলেন, আকাশ ভেঙে নামা প্রবল বৃষ্টির মূর্ছনা তার সঙ্গে মিশে সৃষ্টি করেছিল অপূর্ব দ্যোতনা। ‘ধনধান্য পুষ্পভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা’ গানটির সঙ্গে মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রীরা।

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তার সঙ্গে উদ্বোধনী পর্বে আরও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও খনিজসম্পদক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম, বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, অ্যালামনাই শেখ কবির হোসেন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, বর্তমান সভাপতি এ. কে. আজাদ ও মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অ্যালামনাইয়ের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটির সঙ্গে মিলে এর শিক্ষা, পরিবেশ ও অবকাঠামোর উন্নয়নে কাজ করছে, আশা করি ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত রাখবেন তারা।

জাতীয় পতাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যালামনাইয়ের পতাকা উড়িয়ে এর উদ্বোধনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইসহ বিভিন্ন হল ও বিভাগীয় অ্যালামনাইয়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অতিথিরা কেক কাটেন। এদিন ৭৩তম জন্মদিন থাকায় কেকটি উৎসর্গ করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

উদ্বোধনী পর্বের পরে টিএসসি মিলনায়তনে শুরু হয় ‘আলমা মেটারের প্রতি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অ্যাসোসিয়েশনকে নানা পরামর্শ দেন অ্যালামনাইরা। তারা বিশ্বের সেরা এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন। আগামী ১০ বছরের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সেরা ১০০তম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, এজন্য অ্যালামনাই হিসেবে তারা তাদের পক্ষ থেকে করণীয় যা কিছু আছে, তা করতে প্রস্তুত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তারা এজন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। এসময় শিক্ষকদের সঠিকভাবে ক্লাস নেওয়া, যোগ্য প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, শিক্ষকদের গবেষণাসহ আরও নানা বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। প্রাক্তনরা বলেন, শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে এসেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান বিশ্বের সেরা এক হাজারে নেই, এটি খুবই হতাশাজনক। তবে এ হতাশাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সেরা একশতে নিয়ে আসতে হবে। এরজন্য শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে। গবেষণার প্রতি জোর দিতে হবে। এরসঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে আসতে হবে।

অ্যালামনাইয়ের সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অ্যালামনাইয়ের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, সাবেক সভাপতি ও মহাসচিব রকিবউদ্দীন আহমেদ, অ্যালামনাইয়ের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু সালেহ, পুলিশের সাবেক আইজি এনামুল হক, ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন, সাবেক সচিব সোহেল চৌধুরী, অ্যালামনাইয়ের জ্যেষ্ঠ সদস্য সেলিনা খালেক, শিল্পী ফকির আলমগীর, অ্যাডভোকেট এম কে রহমান প্রমুখ।

আলোচনায় ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে এসেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেরা এক হাজারে স্থান করতে পারেনি। এটি দুঃখজনক। তবে আমরা এর জন্য এখনও কিছু করতে পারি। প্রথমে শিক্ষার মান ও গবেষণার দিকে জোর দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ থেকে ৫০ ভাগ রেটিং আসে শিক্ষকের যোগ্যতা, গবেষণা এবং সাইটেশনের ওপর। প্রাথমিক পদক্ষেপের জন্য আমাদের ওয়েট লিস্টে যেতে হবে। এর জন্য প্রকাশনা দরকার। অ্যালামনাইয়ের পক্ষ থেকে একটি ‘টাস্কফোর্স’ গঠন করা যেতে পারে। আগামী ১০ বছরে কীভাবে সেরা একশতে আসতে পারি, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মিলে কাজ করা যেতে পারে।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সাংস্কৃতিক বলয়ের মধ্যে অবস্থান করছে। সেখানে একটি গ্রন্থ প্রাঙ্গণ থাকা দরকার। সবাই যেন এখানে এসে বই পায়। এটি অত্যাবশ্যকীয়। কাঁটাবন এলাকায় একটি বইয়ের প্রাঙ্গণ গড়ে তোলা যেতে পারে। আবশ্যক আরেকটি বিষয় হলো মুক্তি সংগ্রামের সংগ্রহশালা। আমাদের মুক্তি সংগ্রামের সকল উপাদান এখানে সংরক্ষিত থাকবে। যার যখন প্রয়োজন সেগুলো দেখবে এবং প্রয়োজনে গবেষণা করবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা আলমা মেটার বলছি। একে পালিত মা হিসেবে দেখছি আমরা। মায়ের মলিন চেহারা দেখলে যেমন আমরা নয়ন জলে ভাসি, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিন চেহারা আমাদের বিষন্নতায় ডোবায়। এই বিষন্নতা ঘোচাতে হবে। এখানে জ্ঞানের চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।

মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেরা এক হাজারেও নেই, এটি হতশাজনক। কাজেই শিক্ষার মান বৃদ্ধি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষক নিয়োগের সময় ভালো মানের শিক্ষক বাছাই করতে হবে। এক্ষেত্রে ছাত্রদের পড়ানোয় দক্ষ, মেধাবী এবং শিক্ষকতার প্রতি বিশ্বস্তদেরই নির্বাচন করতে হবে। এ কাজে অ্যালামনাই নজরদারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে পারে। অ্যালামনাই এ ব্যাপারে পরামর্শও দিতে পারে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময়ও ছাত্ররাজনীতি ছিল। কিন্তু সেটি এখনকার ছাত্ররাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন ছাত্রজীবন শেষ করার আগেই তারা গাড়ি-বাড়ির কথা ভাবে। এভাবে ছাত্ররাজনীতিকে কলুষিত করে ফেলা হয়েছে। এর থেকে উত্তরণ দরকার।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘অ্যালামনাইয়ের মনোভঙ্গি ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই। অ্যালামনাইয়ের সদস্যদের প্রস্তাবনা ও পরামর্শগুলো পয়েন্ট আকারে লিপিবদ্ধ করেছি। সেগুলো মাননীয় উপাচার্যের কাছে উপস্থাপন করব।’সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়তা করেছে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে হাত দিয়েছি। প্রতি বছর ১২শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিচ্ছি। এই খাতে প্রতি বছর ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। আমরা টিএসসির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে হাত দিয়েছি। টয়লেটগুলোকে আধুনিক মানসম্পন্ন করে সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবস্থাপনার অভাবে কয়েকদিন যাওয়ার পরই আগের অবস্থানের মতো হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি চায় তাহলে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব আমরা নিতে পারি। তিনি বলেন, আমাদের লাইব্রেরির অবস্থা খুবই খারাপ। শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়লেও লাইব্রেরির সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়নি। এ বিষয়ে অ্যালামনাই কাজ করতে চায়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নেও আমরা কাজ করতে পারি।

অনুষ্ঠানে মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব করেন।

]]>
স্মরণে শপথে ১৫ আগস্ট https://duaa-bd.org/2019/09/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%a3%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a6%aa%e0%a6%a5%e0%a7%87-%e0%a7%a7%e0%a7%ab-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f/ Sun, 01 Sep 2019 11:58:29 +0000 https://duaa-bd.org/?p=1193 বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাকরা জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধু মানুষকে বিশ্বাস করতেন। তাই তিনি নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবেননি। ফলে খুব সহজে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের এসব মদদদাতার বিচার করতে হবে। স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশত বছর পর যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জননেত্রী শেখ হাসিনা করতে পারেন, তাহলে তাদের বিচারও অসম্ভব কিছু নয়। এর জন্য যে তদন্ত কমিশনের কথা বলা হচ্ছে, সেটি করতে হবে।

গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে ‘স্মরণে শপথে ১৫ আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ফরাসউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত অন্যতম সহযোগী হাজি গোলাম মোর্শেদ, কবি নির্মলেন্দু গুণ, অ্যালামনাইর সিনিয়র সহসভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, সহসভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ প্রমুখ।

সভায় আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল একটি নাম নয়, এটি একটি ইতিহাস ও সংগ্রামের নাম। আর তার জীবনাদর্শকে আমরা একটি দর্শন হিসেবে বিবেচনা করি। জাতিসংঘের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দুইভাগে বিভক্ত- একদল শোষক, আরেক দল শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’ এর মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন, তার নেতৃত্ব শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্ব পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জন্য একটি কলঙ্কিত দিন। এদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্য ব্যক্তিগত ছিল না। একটি জাতিকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা তৎপর হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে জিয়া-মোশতাক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। তার প্রমাণ তাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ড এবং আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশি ও বিদেশি মিডিয়ায় সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পুনর্বাসিত করেছিল জিয়াউর রহমান। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিল।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তকে কুচক্রীরা ভয় পায়। সেই রক্তকে শেষ করে দেওয়ার জন্য জিয়া পরিবার ও কুচক্রীরা আগেও তৎপর ছিল, এখনও আছে। তাদের রুখে দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মধ্যে নেই। তবে তার জীবনাদর্শ আমাদের মধ্যে আছে, সেগুলো আঁকড়ে ধরতে হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর ঋণ তখনই শোধ করতে পারব, যখন আমরা তার আদর্শকে ধরে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে পারব। এ দেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিতে পারব।

ফরাসউদ্দিন বলেন, যেসব মিলিটারি ও সিভিল আমলা বঙ্গবন্ধুর লাশ ধানমণ্ডি ৩২-এর সিঁড়িতে রেখে মোশতাকের অভিষেক অনুষ্ঠান পালন করেছিল, তারা আজও বিদ্যমান। তাদের ব্যাপারে তৎপর থাকা প্রয়োজন।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে বিশ্বাস করতেন। তাই তিনি নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবেননি। ফলে মোশতাকের মতো চাটুকাররা এত সহজে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। সপরিবারে তাকে হত্যার মাধ্যমে ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশ ও বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে দেবে। কিন্তু যতই দিন গড়াচ্ছে, বঙ্গবন্ধুকে নতুন রূপে আমরা আবিস্কার করছি। কাজেই তাদের আকাঙ্ক্ষা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, আমার সৌভাগ্য যে, আমি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লিখেছি। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল, তারা আমাকেও বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছিল। ১৯৬৭ সালে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রভাবিত হয়ে তাকে উৎসর্গ করে কবিতা লিখেছিলাম।

হাজি গোলাম মোর্শেদ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন সময়ের স্মৃতিচারণ করেন। এর মধ্যে ১৫ আগস্ট, ৭ মার্চের ভাষণ ও ২৫ মার্চের কালরাতের ঘটনা উল্লেখযোগ্য।

সভাপতির বক্তব্যে এ. কে. আজাদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে। তেমনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনও বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের যুবসমাজ নিয়ে ভাবতেন। কারণ, এই যুবসমাজই রাষ্ট্রের প্রাণশক্তি। এই যুবসমাজকে যদি আমরা কাজে লাগাতে না পারি, তাহলে দেশ সমৃদ্ধিশালী হবে না; দেশ আত্মনির্ভরশীল হবে না। তাই সেই যুবসমাজের জন্য আমরা কতটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি, বেকারত্ব কতটা কমাতে পারি- সে ব্যাপারে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই কর্মসূচি নেবে।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কারিগরি শিক্ষার ব্যাপারে আমাদের জোর দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষায় জোর দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষিত কোনো বেকার যেন না থাকে, সে ব্যাপারেও আমরা কর্মসূচি হাতে নেব। ৮ শতাংশেরও বেশি জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার আমাদের বিরাট সাফল্য। এ দেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করার ব্যাপারেও আমরা কাজ করব। শিশু স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও সারাদেশে আমাদের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে তাদের মাধ্যমে মাদক ও বাল্যবিয়ে বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিচালিত হয়েছে। আমরা সেসব শিক্ষার্থীকে সেভাবেই প্রশিক্ষিত করছি। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাদের কাজে লাগাব।

এ. কে. আজাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। রাষ্ট্র এ মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেবে। তাই বঙ্গবন্ধু সবার প্রথমে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে জোর দিয়েছিলেন। এর আগে মাত্র সাত কোটি মানুষের জন্য খাদ্যের নিশ্চয়তা ছিল না। কিন্তু আজ প্রায় ১৮ কোটি মানুষের এই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর এটি তখনকার সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনারই ফসল। তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে সেই ভাবনা আজ বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। আমরা এখন বিভিন্ন দেশে খাদ্য রফতানি করছি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

]]>
বার্ষিক সাধারণ সভা- ২০১৯ অনুষ্ঠিত https://duaa-bd.org/2019/04/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a3-%e0%a6%b8%e0%a6%ad%e0%a6%be-%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a7%e0%a7%af-%e0%a6%85/ Sun, 28 Apr 2019 17:59:41 +0000 https://duaa-bd.org/?p=1068 ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা গত ২৭ এপ্রিল ২০১৯, শনিবার বিকেল ৪:০০টায় ঢাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদ-এর সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনার জন্য গঠনতন্ত্রে বর্ণিত সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে সভার কার্যক্রম শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আশরাফুল হক মুকুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সম্মানিত সভাপতি জনাব এ. কে. আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার, সহ-সভাপতি মিসেস মুনিরা খান, সহ-সভাপতি শাইখ সিরাজ, মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান রাশিদুল হাসান, কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য সেলিনা খালেক, জনাব আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ ও খাঁজা নারগিস হোসেন- কে মঞ্চে আসন গ্রহণের জন্য সবিনয় অনুরোধ জানান।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যক্রম শুরু হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর্বটি পরিচালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ আমিনুর রহমান মাইকেল। পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাদির, পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ করেন অধ্যাপক ড. তপন ডি. রোজারিও এবং পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়–য়া।

বার্ষিক সাধারণ সভায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ১। অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ২। সারাদেশব্যাপী সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান ৩। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ৪। যে সকল শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে চাচ্ছে তাদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ পালন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবছরকে সামনে রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল ও বিভাগীয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ নিয়ে একটি সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সকল সদস্যগণকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৯-এ ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম আরিফুর রহমান। আগামী তিন বছরের জন্য (২০১৯-২০২২) গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এ. কে. আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার, মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার।

সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধনী সংক্রান্ত নিম্মোক্ত প্রস্তাবসমূহ উপস্থাপন করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব এ. কে. আজাদ।

১ম সংশোধনী:
বর্তমান গঠনতন্ত্র:
সদস্যভুক্তির নিয়মাবলী (ধারা ১০): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর যে কোন অ্যালামনাই অত্র এসোসিয়েশনের সংবিধানের বিধি ও নিয়মাবলীর প্রতি পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপন করিয়া নির্ধারিত ফি প্রদান পূর্বক এসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার জন্য নির্ধারিত আবেদন ফর্মে মহাসচিব বরাবর আবেদন করিতে পারিবেন এবং আবেদন কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হইলেই আবেদনকারী এসোসিয়েশনের সদস্য হিসাবে গণ্য হইবেন। শর্ত থাকে যে,কার্যনির্বাহী কমিটি যে কোন আবেদন গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখান করার সর্বময় ক্ষমতা সংরক্ষণ রাখে।

প্রস্তাব: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংযুক্ত কথাটি যুক্ত করা।

২য় সংশোধনী:
বর্তমান গঠনতন্ত্র: ৩রা মার্চ’২০১২ অনুষ্ঠিত সার্বিক সাধারণ সভায় অনুমোদিত হয়।
জীবন সদস্য ফি (বিধি ২): নতুন সদস্যপদ আবেদন পত্রের সঙ্গে ডিগ্রি প্রাপ্ত সার্টিফিকেটসহ দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো এবং এককালীন ২৫০০/- (পঁিচশ শত) টাকা প্রদান করিতে হইবে। এরূপ নতুন জীবন সদস্যকে একটি ডিজিটাল আইডি কার্ড প্রদান করা হইবে।

প্রস্তাব:
এককালীন ২৫০০ (পঁচিশ শত) টাকার পরিবর্তে ৫০০০ ( পাঁচ হাজার) টাকা করা।

৩য় সংশোধনী:
বর্তমান গঠনতন্ত্র: কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (ধারা-২১): বর্তমানে কার্যনির্বাহী কমিটির সর্বমোট সদস্য সংখ্যা ৪১ জন। এবং পদাধিকার বলে সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি এবং মহাসচিব সদস্য থাকবেন।

প্রস্তাব:
কার্যনির্বাহী কমিটির ২৮ শে মার্চ ২০১৯ ৩২তম সভায় অ্যাসোসিয়েশনের সার্বিক কর্মকান্ডে অধিকতর গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে গঠণতন্ত্রের ধারা ২১ সংশোধনী প্রস্তাব:
৪১ সদস্যের পরিবর্তে ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি।
৪৩ সদস্য কার্যনির্বাহী কমিটির মধ্য থেকে আরো একজন সহ-সভাপতি, একজন আইন সম্পাদক, একজন সমাজসেবা সম্পাদক, একজন অ্যাপ্যায়ন সম্পাদক এবং একজন আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সম্পাদক পদসমূহ যুক্ত করা।

গঠনতন্ত্রের উত্থাপিত সংশোধনীসমূহ উপস্থিত জীবন সদস্যবৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে পাশ করেন।

বার্ষিক সাধারণ সভায় শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মুনিরা খান। স্বাগত বক্তৃতা করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার।

২০১৮-২০১৯ সালের বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু। সংগঠনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার বিগত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান রাশিদুল হাসান গত এক বছরের হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদন পেশ করেন। এরপর হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদন, গত বছরের বার্ষিক কার্যবিবরণী ও মহাসচিবের প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা হয়। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিনিয়র সদস্য সেলিনা খালেক ।

সভায় সভাপতি মহোদয় বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে তার প্রস্তাব ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং উপস্থিত সদস্যবৃন্দ উন্মুক্ত আলোচনার আহ্বান জানান। উপস্থিত জীবন সদস্যবৃন্দ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আগামী দিনগুলোতে করণীয় বিষয়গুলোর উপর স্বতঃস্ফুর্ত ও গঠনমূলক আলোচনায় অংশগ্রহন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তার বক্তব্যে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রমের প্রশংসা করে আগামী দিনের কর্মকা-ে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতার আশাব্যক্ত করেন।

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রায় দুই হাজার সদস্যের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে বৈশাখী আড্ডা এবং সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বার্ষিক সাধারণ সভা শেষ হয়।

]]>